সেই সকালে ঘোড়ার গাড়ি তোমার বাড়ির সামনে,
কয়েক ধূতি কয়েক শাড়িতে ভর্তি ছিলো আগ্নে,
কিছুই বোঝার বাকি না থাক আমার চিন্তা আয়ুতে,
শেষবার টাই দেখেছি তোমায় হাত ভর্তি বালাতে,
মুলুক ভাগের নগ্ন খেলায়,
তোমার আমার বিচ্ছেদ,
চিঠি লিখবো কোন ঠিকানায়?
কোন ভাষায় দেবো সংকেত?
আমি এপার থেকে বলছি,
তুমি ওপার থেকে শুনছো,
আর মধ্যখানের No Man’s Land টা কাঁদছে,
তারাও কথা বলছে।
প্রেম করিনি রাজনীতির ওই বুক পকেটে লুকিয়ে,
কেনো তবে বিভেদ হবে তাদের বুঝকে মানিয়ে,
ভাগটা তবে ধর্মতে কি? মন্দির তুমি আমি মসজিদে?
ভেদহীন রক্ত ওমা একি? ভাগটা তবে কোন গণিতে?
দেশ ভাগটা করলে ঠিকই প্রেম ভাগটাও করে যাও,
ধর্ম ভাগে উপস থেকে মায়ের ভাগটা শুধরে নাও,
আমি এপার থেকে বলছি,
তুমি ওপার থেকে শুনছো,
আর মধ্যখানের No Man’s Land টা কাঁদছে,
তারাও কথা বলছে।
এখন আমি আমার মতো,
আর তুমি লুকোবে ক্ষত,
দেশ দুটো মধ্যখানে এসে দাঁড়িয়ে,
তুমি এদেশী আমি ওদেশী,
আর বিলুপ্ত জাত স্বদেশী,
তোমায় দেখতে হবে বন্দুকের নল পেরিয়ে,
তোমার শাড়ির আঁচল দিয়ে,
তাদের বন্দুক নল পেঁচাবো,
আমার শার্টের দু হাতাতে,
কাঁটাতার লাগাবো,
চলো সেই জাহানে যাবো,
যেখানে হিংস্র নই আমি তুমি,
রোজ এক খেয়াতে দাঁড়াবো,
আর একই থাকবে ভূমি,
আমি এপার থেকে বলছি,
তুমি ওপার থেকে শুনছো,
আর মধ্যখানের No Man’s Land টা কাঁদছে,
তারাও কথা বলছে।