ভাঙা ফ্রেম আর অকেজো অপ্সরী (A broken frame and fairy)

ভাঙা ফ্রেম আর অকেজো অপ্সরী (A broken frame and fairy)

Rajiul Huda Dipto is a professional screenplay writer and working for years in the Bangladeshi TV industry. Besides that, he introduces himself as a photographer, whose photographs have been featured in various magazines and exhibitions all around the world. Not regularly, but he publishes his works in national dailies as well. Currently, he is working as a community writer in BuzzFeed and a contributor in Getty Images.

 

-“তুই এই ধরনের বাজে অভিযোগ তোর বাবার opposite এ বলতে পারিস না।”

-“কেনো? যেটা হয়েছে সেটা কেনো বলতে পারি না? আমি নেহাতই তোমার মেয়ে বলে?”

-“তুই কিসের ভিত্তিতে এই সব বলছিস?”

-“তোমার ফোন log, মেসেজ লিস্ট। ফোন operate এ তুমি বরাবরই একটু কাঁচা।”

-“তোর লজ্জা করে না? তুই লুকিয়ে লুকিয়ে…..।”

-“তোমার লজ্জা করেনি, বাবা? মায়ের কাছে লুকিয়ে লুকিয়ে…..।”

বাবার সাথে এই conversation এর আমি একটু flash back এ যাই।

এই হোটেলটা অনেক rich. উচ্চবিত্ত পরিবার এর মেয়ে বলে, এইখানে প্রায়শই আসা যাওয়া লেগে থাকে আমার। তবে, আজ সন্ধ্যাটা অন্য আসা-যাওয়া সন্ধ্যার চেয়ে ভিন্ন। যে টেবিল এই দেখছি, হয় কাপল নাহয় বন্ধু-বান্ধব এ ভর্তি। As a couple কখনো আসা হয়নি আমার। “আমার বন্ধু’র সংখ্যা নেহাতই কম নয়” এই ধরনের কথা বলে আমি আমার উচ্চবিত্ত status এর পরিচয় দিতে চাচ্ছিনা আজকে। তবে, হ্যাঁ ওদের সাথেই এইখানে আসা হয় অনেক বেশী। আজ বিষয়টা একদমই উলটো। একটা দুই চেয়ার এর টেবিলে আমি বসা। যে লোকটার পাশের চেয়ারে বসে প্রতি রাতে ডিনার করি, আজ সে লোকটা আমার উলটো পাশের চেয়ারে বসা। আমার বাবা।

-“তুই আমাকে তোর মাকে না জানিয়ে এইখানে আসতে বলেছিস কেনো?”

বাবার এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে ভালোভাবে আছে। তবে, এই প্রশ্নের উত্তর নেহাতই উত্তর নয় বরং উলটো একটা প্রশ্ন। আমার হাঁটু লাফাচ্ছে অতি দ্রুত মাত্রায়। পা এর গোড়ালি, মাটিতে নেই। পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে ভর করে তা খাড়াভাবে দাঁড়ানো। আজ যথেষ্ট বড় স্কার্ট পড়েছি, তবুও অজানা কারণে আমি টান দিয়ে তা বড় করার চেষ্টা করছি। হাত ঘামছে অসম্ভব ভাবে। বাবার দিকে তাকানো দুর্বিষহ এই মুহূর্তে।

-“Sir, what would you like to have?”

ওয়েটারের আগমন।

-“I will just have a coffee. ওর জন্য একটা stick and apple juice. Make sure juice e যেনো extra ice না থাকে। আমার মেয়ে একদম পছন্দ করে না।”

-“Sure, Sir. 20 minutes.”

আমি এই মানুষটার দিকে এখন তাকাতে পারছি। গত মাসেও হাসি মুখে তার দিকে তাকাতাম। আর, আজ অবাক হয়ে। বাবা জানে আমি এইখানে আসলে কি খাই, কিভাবে খাই। আর, আমি তা জানতে পেরে অবাক। যখন বাস্তবের মুখোমুখি হতে হয় আমাকে, আমি নিজের কাছে নিজেকে অনেক ছোট ভাবি। বাবা কি সত্যি এমন?

-“10 minutes ধরে আমরা এইখানে। তুই চুপ। তোর যদি এইখানে আসার ইচ্ছা থাকতো, আগে বলতিস। তোর মাকেও নিয়ে আসতাম। লুকিয়ে লুকিয়ে কেনো? তুই কিছু বলবিনা?”

আমি আমার নখ এর সাথে নখ ঘোষা শুরু করে দিয়েছি। টেবিল এর মধ্যেখানে ছোট bowl এর পানিতে ভেজানো গোলাপের পাঁপড়ি আমাকে বলছে আমাকে একবার শুঁকে নিয়ে ভুলে যাও এই সব। কি দরকার শুধু শুধু অশান্তি ডাকার?

-“বাবা, তুমি এমন কেনো করেছো?”

-“কেমন কি? কি করেছি?”

-“আমার সাথে…..মায়ের সাথে, এমন কেনো করেছো বাবা?”

আমি বাবার দিক থেকে চোখ নামিয়ে নিচে রেখেছি আমার দৃষ্টিকোণ। দারুণ ভাবে বুঝতে পারছি, বাবা আমার চোখের দিকে তাকাচ্ছে।

-“কি করেছি রে? তুই কি আমাকে খুলে বলবি?”

উফফ! আর থাকতে পারছি না। আমি এতোটা এসে কিভাবে পেছনে সরতে পারি? আমি বাবার দিকে তাকাই।

-“শায়লা আন্টি…..”

বাবা একটু পিছনে সরে যায়। তার পিঠ চেয়ারের গায়ে গিয়ে বাধা পায়। পেছনে হালকা হালকা মেজাজে চলা Jazz টা তার tone আরো কমিয়ে দিয়েছে।

-“হ্যাঁ, কি হয়েছে শায়লার?”

আমি পা এর আঙুল এইবার চিপে রাখি। দাঁত চিপে উত্তর দি,

-“মাকে ভুলে, আমাকে ভুলে…..তুমি শায়লা আন্টি কে…..”

আমি দারুণভাবে এক গ্লাস পানির অভাব বুঝতে পারি। সাত যুগের পিপাসী আমি। Stick আর apple juice এর বদলে পানি এখন আমাকে শান্তি দিবে। এক গ্লাস পানি খেয়ে, আমি দৌড়ে পালাতে চাইছি এখান থেকে হয়তো বা নিজের ই কাছ থেকে। বাবার চোখ আমার বুকের বাম পাশের ছোট ঘরটার জানালাটাকে পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই ছোট ঘরে একটা তিনজনের পরিবার বাস করতো। এখন, শুধু আমি আর মা থাকি।

-“এইসব কি?”

-“সত্যি, বাবা। এইসব সত্যি।”

-“মানে, seriously. তুই এইটা চিন্তাও কিভাবে করতে পারিস?”

-“ঠিক এইটাই। ঠিক এইটাই ভেবেছিলাম আমি। আমি এইটা বরং চিন্তাও কিভাবে করতে পারি? কিন্তু, এইটা কি সত্যি না?”

-“তুই এই ধরনের বাজে অভিযোগ তোর বাবার opposite এ বলতে পারিস না।”

-“কেনো? যেটা হয়েছে সেটা কেনো বলতে পারি না? আমি নেহাতই তোমার মেয়ে বলে?”

-“তুই কিসের ভিত্তিতে এই সব বলছিস?”

-“তোমার ফোন log, মেসেজ লিস্ট। ফোন operate এ তুমি বরাবরই একটু কাঁচা।”

-“তোর লজ্জা করে না? তুই লুকিয়ে লুকিয়ে…..।”

-“তোমার লজ্জা করেনি,বাবা? মায়ের কাছে লুকিয়ে লুকিয়ে…..।”

-“স্যার, kindly please.”

আমার আর বাবার মাঝে বাঁধা এখন এই ওয়েটার। সে প্রথমে কফি টা টেবিলে রাখে। তার ধোঁয়া আমাকে চিন্তা করতে বাধ্য করে, ভবিষ্যতের কথা। এই ভাবেই কি তবে বাষ্প হয়ে উড়ে যাবো আমরা সবাই? তারপর, stick টা নামানো হয়েছে। তার গায়ে খাঁচ খাঁচ করে কাটা টুকরা টুকরা দাগ আমাকে মনে করিয়ে দেয় বাবার গায়ে লেগে থাকা টুকরো টুকরো কলংকের কালো দাগকে। তারপর, আসে apple juice. Extra ice না থাকায়, juice অনেক ঘন লাগে। বাবাকে কি আর ঘনঘন hug করা হবে না আমার?

-“Please, enjoy your meal.”

বাবা তার মাথা নাড়ায়। তারপর আবার আমার দিকে তাকায়। হঠাত তিন টেবিল পরে কারো spoon ফেলে দাওয়ার আওয়াজ পাই।

-“দেখ, তোর কথা মন থেকে ফেলে দে please.”

-“বাবা, ওই পড়ে যাওয়া চামচটার তিনটা কাঁটা আছে। ওইটা একসাথে লেগে আছে বলেই, চামচ টা useless নয়। সেটা যদি কাঁচের হতো। স্বচ্ছ, এপিঠ থেকে ওপিঠটা দেখতে পাওয়ার মতো? তাহলে, সেটা পড়লেই নি:শেষ। একদম ভেঙে যেতো পুরোটাই।”

-“তুই কি শুরু করলি বলতো। তুইকি আমার কথা শুনলি। এই সব খেয়ালি ছাড়। বাবার ব্যাপারে এই সব কি ভাবিস, এই মানুষ হলি তুই?”

-“আমরাও চামচ এর কাঁটার মতো তিনজন বাবা। তুমি, আমি আর মা। আজ, ‘সত্যি’ আমাদেরকে কাঁচের মতো স্বচ্ছ বানিয়ে দিয়েছে। এপিঠ-অপিঠ দেখা যাচ্ছে। যদি তা পড়ে যায়। তাহলে, তো…..”

বাবা, চুপ। তিনি অপরাধী। অপরাধীরা সাধারণত তেলপোকার মতো। তারা অপরাধ মাথা পেতে না নিয়ে, দৌড়ে পালিয়ে যেতে ওস্তাদ। কিন্তু, যেই না একবার অভিযোগের সত্যি বোঝার চাপে উলটে যায় ওমনি সব দাপট শেষ। তেলাপোকা উলটে গেলে যেমন সুরসুর আওয়াজ হয়, তেমন আওয়াজ আমার বাবার কাছ থেকে আসছে। তার নিশ্বাসের।

Jazz টা বেজে যাচ্ছে, নিজের তালে। টুং টাং প্লেটের সাথে চামচের আওয়াজ পুরো হল টা জুড়ে। সামনে রাখা খাবার আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। বলছে, খাও। আমি চোখ দিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টায় লেগে আছি, এখন এক ধরন এর অপরাধ বোধ আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।

আমি উঠে দাঁড়ালাম।

-“কোথায় যাচ্ছিস?”

-“জানিনা।”

-“খাবার টা খেয়ে নে।”

-“যাচ্ছি, বাবা।”

-“বস, মা। আমার কথাটা শোন একটু।”

-“এইখানে তোমার কথা শোনার জন্য, আমি তুমি কেউই আসিনি। এসেছিলাম আমার কথাগুলো বলতে। আমি তা শেষ করেছি।”

আমি ঘাড়ের ব্যাগটা ঘাড়ে তুলে নি। ব্যাগে একটা চিরুণী আর math book টা ছাড়া তেমন কিছু নেই। তবুও, এই কাঁধ আমার খুব ভারী লাগছে। যদি আমি আমি না হতাম, বাম দিক ভেঙে পড়তো খুব সহজে।

পেছন দিকে বাবা ডাকছে। আমি হাঁটছি দুই হাত মুষ্টি করে, দাঁত চিপে, সোজা তাকিয়ে, ভারী দু’টো পা নিয়ে।

রাত ৮টা। এই সময় বাসায় থাকি। ছাদে গিয়ে মা এর কোলে শুয়ে আকাশ দেখি। আজও আমি আকাশ দেখছি। এক গাদা অশান্তির কোলে শুয়ে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে। যত আগাই, পা ভারী হয়ে পড়ে।

-“ট্যাক্সি।”

আমি ট্যাক্সির মখমলে সিটের খাঁজেখাঁজে ঢুকে থাকা বাদামের দু’একটা খোসার একে অপরের সাথে লেগে থাকা দেখছি। অতি সাধারণ হয়েও তারা একসাথে। গাড়ির জানালার বাইরে, এই রাতে কি শুধু আমার জীবনেই ঘটেছে দু:খ আর বর্তমানের সহবাস? নাকি, অন্য অনেকের জীবনেও?

মা দরজা খোলে।

-“কি, রে? এতো দেরী? আজ কোন বান্ধবীর বন্ধু ছেড়ে চলে গেলো যে sympathy দিতে পৌঁছে গেছিলি? নাকি তুই নিজে কোনো বন্ধু পেয়ে গেছিস, হ্যাঁ?”

মা হাসছে। আমি আমার রুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

-“তোর বাবা এখনো আসেনি। ফোন ধরছেনা।”

মা’র কথা মিলিয়ে যায়। আমি রুমে গিয়ে বসে পড়ি। দরজা বন্ধ। সব light বন্ধ করে, টেবিলের ল্যাম্প টা জ্বালাই। অন্য সব গল্পের মতো, এই গল্পেও টেবিলের একপাশে পুরো পরিবারের একটা ছবি। ল্যাম্পটার আলো উপরের সিলিং এ গিয়ে লাগছে।

পুরো সিলিং আলোকিত হচ্ছে না। হালকা হালকা। সেই আলো দেখতে দেখতে উপর পাশ হয়ে আমি বিছানায় শুয়ে পড়ি। খুব দুর্বল মনে হচ্ছে এখন নিজেকে। পা কাঁপছে। অনেক খিদে পেয়েছে আমার। সাথে ঘুম। আমার ক্লান্ত হাতটা টেবিলের উপর গিয়ে পড়ে। সাথে কাঁচ ভাঙার শব্দ। হয়তো photo frame টা পড়ে গেছে। না, কোনো এক ঘোরে আমি চোখ খুলে তা আর দেখতে যাইনি।

খুব গরম লাগছে এখন। চোখ খোলে। ফ্যান টা চালানো হয়নি। শরীর ঘেমে চ্যাটচ্যাটে ভাবে লেগে গেছে বিছানার সাথে। আমার চুলে গিটি লাগা। পেছন দিকটা ঘেমে গেছে। মাথা ব্যথায় চাড়তে পারছিনা। উঠে গিয়ে দরজা খুলি।

আমার মেয়ে পাশের ঘরে family photo টা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে যার মধ্যে আমি শেফন একটা শাড়ি পড়া, আমার কোলে সাদা আর গোলাপি আভার একটা স্কার্ট পড়ে ঘাড় সমান চুলে আমার মেয়ে, আর আমার পিঠ ছুঁয়ে যে হাতটা চলে গেছে সেটা আমার husband এর। তার মুখে হাসি, তবে একই সাথে মোহ।

সে এখনো আসে নি। ১০:৩০ তো তার বাসায় এসে জুতো খোলার সময়। আমি খাবার টেবিলে গিয়ে বসি।

কিছু রান্না করা হয়নি। কিছুদিন ধরে অতীত এসে ধরা দিচ্ছে। Stick আর apple juice খেতে খুব ইচ্ছা করছে। প্রচন্ড গরম।

একটা মটর বাইক বাসার সামনে এসে থামে। তারপর কলিং বেল এর চিৎকার।

কাচি গেট খুলে দি। ও দাঁড়িয়ে। সামনে চুলটা কপালের উপর। যদিও সে খুব একটা বিশাল স্বাস্থ্যের অধিকারী নয়, তবুও তার পেটের কাছের বোতামটা খোলা। তার সাথে বেল্টের শেষ অংশ একটা খাঁচে ঢোকানো নেই। সে আমার পাশে এসে গালে একটা চুমু বসিয়ে দেয়। তারপর আমাকে pass করে ভেতরে যায়। তার শরীর থেকে আসা বেলীফুল এর গন্ধ আমার লোম দাঁড় করিয়ে নেই। বেলীফুলে আমার এল্যার্জি আছে। আমি যতবারই বেলীফুল দেখেছি, তা প্রতিবারই TV তে কোনো না কোনো South Indian মহিলার চুলের খোঁপায়। South Indian ভাষা আমার বোধগম্য নয়। হয়ত, সেই কারণেই বিরক্ত লাগে বেলীফুল। সুগন্ধটাও যেন কেমন কেমন। দক্ষিণ ভারতীয় নারিকেলের মতো মিষ্টি নয়।

ওর শরীর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে এমন অবোধ্য গন্ধ পাচ্ছি আমি। তারপর, সেদিন ডান কানে কেটে যাওয়ার দাগ। আসলে, ওর হেলমেট টা অনেক চাপা। পড়তে গিয়ে হয়তো বা লেগে গেছে। ওকে আমি জিজ্ঞেসও করেছিলাম। ও বলেছে, shave করতে গিয়ে নাকি কেটে গেছে। আমি বলেছি, না হেলমেট পড়তে গিয়ে। আমার কথাটাই ঠিক। এইটা হেলমেটের দাগ, অন্য কিছুর হতেই পারেনা। জানিনা কেনো, তখন সে শুধু একটা হাসি দিয়েছিলো। ঠিক আমার বাবার মতো করে মোহের হাসি।

আমি এইসব ভাবছি আর শাড়ির আঁচল পেঁচাচ্ছি। আমার পা সামনে আগাচ্ছে আসতে করে। তবে, এই হাঁটার ধপ ধপ আওয়াজ টা একটু বেশী জোরে হচ্ছে। আমার রুম এ যাবো। ও হয়তো এখন ক্লান্ত হয়ে শুয়ে আছে। বেলীফুলের গন্ধ মাখা শার্টটা ঝুলছে অপরাধীর মতো ক্লান্ত হয়ে।

আমার চোখ সেই রুমে গেলো, যেখানে আমার মেয়ে খেলছিলো। সে এখনো family photo ফ্রেম টা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। এই ছবির অর্থও কি তার কাছে অবোধ্য? আমি দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলাম। Show case টার উপর সে ফ্রেমটা রাখতে যাচ্ছে। আমার কপাল ঘেমে গেছে। ঘুম আসছে আবার ও। সেই দিনের রাতের মতো ক্লান্তও এখন। আমার মেয়ে frame টা কেবল রেখেছে আর আমি চোখের পলক ফেলেছি, ওমনেই কাঁচ ভাঙার আওয়াজ। সেইদিনের রাতের মতো আওয়াজটা। পলক ফেলে চোখ আর খুলতে ইচ্ছা করছে না। ঠিক সেদিন রাতের মতো। আগ্রহ আমাকে হার মানিয়েছে, আমি চোখ খুলে দেখলাম। আমার মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ফ্রেমের মধ্যে আমি, আমার মেয়ে আর সেও হাসছে। শুধু কাঁচটা গুড়িগুড়ি হয়ে ভাঙা, এই যা। আমার মেয়ে ছবি টা ভেঙে দিয়েছে। সে তা ঠিক মতো রাখতে পারেনি। ধরে রাখতে পারেনি। ঠিক যেমন আমি সেদিন ধরে রাখতে পারিনি কাউকে। বাঁচাতে পারিনি বাবা, মা আর আমার হাসি বেঁধে থাকা ছবিটার সুখের বসত, সেই ফটো ফ্রেমটা।

চলনা পালাই যাই (Let’s escape)

চলনা পালাই যাই (Let’s escape)

Rajiul Huda Dipto is a professional screenplay writer and working for years in the Bangladeshi TV industry. Besides that, he introduces himself as a photographer, whose photographs have been featured in various magazines and exhibitions all around the world. Not regularly, but he publishes his works in national dailies as well. Currently, he is working as a community writer in BuzzFeed and a contributor in Getty Images.

চলনা পালাই যাই,
তোকে প্রতিদিন ঘুম পাড়াবো,
হিসেব করে এই বুকেতে তোর নিশ্বাসের রথ জমাবো,
মারবো মশা কামড় দিলে,
তুই বললে উলটো কামড় মশার গায়ে বসিয়ে দেবো, চলনা পালাই যাই।

প্রত্যেক রাতে বেরিয়ে যাবো,
রাস্তার যত জোনাক মানব,
সব আমাদের পেছন নেবে,

সেই জোনাকের কিনবো আলো,
হোকনা সে দাম লক্ষ খানেক,

রাস্তার ধারে লোভ জমানো শিক কিংবা গ্রিল কাবাবের জীবননাশক আগুন ছটা আকাশ ভবে উড়িয়ে দেবো,
চলনা পালাই যাই।

ফোনের যত এপার-অপার,
দুই পারটাই ক্লান্ত অনেক,
ওদের খানিক থমকে দিবো, যা হবে তা সামনে ঘটুক
অনেক হলো পালিয়ে ফেরা,
এবার খানিক রসদ জমুক,
দায়িত্ব আজ আমিই নিলাম, তোর হাসিটার ঝিলিক বাড়ুক
সব কিছুতেই শান্তি বাড়ুক, নাইবা থাকুক কিন্তু তব
চলনা পালাই যাই।

কে হুমায়ূন? (Who is Humayun)

কে হুমায়ূন? (Who is Humayun)

Rajiul Huda Dipto is a professional screenplay writer and working for years in the Bangladeshi TV industry. Besides that, he introduces himself as a photographer, whose photographs have been featured in various magazines and exhibitions all around the world. Not regularly, but he publishes his works in national dailies as well. Currently, he is working as a community writer in BuzzFeed and a contributor in Getty Images.

দিন আসে, দিন যায়। আমি শুধু চুপ থাকি। ইদানিং কিছু বিষয় আমার আশেপাশে, আমার নিউজ ফিডে আমার প্রতিদিনের জীবনে আমার ইন্টারেস্ট না থাকা সত্ত্বেও প্রবেশ করছে। অদ্ভুত এক টুপি আকৃতির চুল ধারী লোকের হোয়াইট হাউসের গদি হরণ, শুধু মাত্র একটা সেলফি বা না গিয়েও চেক-ইন বা “আমি গান বুঝি, সংস্কৃতি বুঝি” ধরনের কিছু হাতে গোনা লোকজনের লোক দেখানো ফোক ফেস্ট নিয়ে প্রতিদিনকার সমালোচনা আর এইচডি টিভিতে ঝিরঝিরে আবছা ক্যামেরায় ধারণ করা বিপিএল এর লাইভ টেলিকাস্ট এইসবের কিছুই আমাকে গ্রাস করেনি।

আমি ভাবছি, আমিকি এতোটাই বোরিং হয়ে গেছি নিজের দুনিয়ায় থাকতে থাকতে? না কি, মানুষের যাতে ইন্টারেস্ট বেশী সেখানে আমার ইন্টারেস্ট কম? এইসবের উত্তর নিয়ে পরে লেখা যাবে। এইবার আমি আসল কথায় আসছি।

The Book Cover of ‘মিসির আলি! আপনি কোথায়?’

হুমায়ূন আহমেদ পড়া শুরু করেছিলাম আম্মুর হাত ধরে। আম্মুর বইয়ের প্রতি দুর্বলতা বেশী। তার কালেকশন সত্যি দারুণ। প্রথম বই, “মিসির আলি আপনি কোথায়?” নামটা লিখার সময় আমার গায়ে এখনো কাঁটা দিচ্ছে, সত্যি দিচ্ছে। না, ভূতের গল্প না। কিন্তু, সেইরকমই। সে সময় আমরা ভাড়া বাসাতে থাকতাম। আমি বড় মামার সাথে ঘুমাতাম। সেই বাসায় আমাদের ঘরের পাশে লম্বা বারান্দা ছিলো। রাতে মামা ঘুমাতো, আমি বইটা পড়তাম। সাদা সেই কভারটায় লাল রঙা টেলিফোনের ছবি। গল্পের প্রধান ফিমেইল প্রোটাগোনিস্ট একটু অলৌকিক। মনে হতো সে লম্বা বারান্দা দিয়ে হেঁটে এসে দরজাটা ফাঁক করে বলবে, “আমাকে কি আয়নাতে দেখা যায়?” সেই থেকে হুমায়ূন প্রেম শুরু। সেটা আজ অবধি আছে।

কিন্তু, ইদানিং কালে আমি কষ্ট পাই হুমায়ূন আহমেদের নাম শুনলে বা তার প্রসঙ্গ উঠলে। ভার্সিটি তে একদিন ক্লাসে হুমায়ূন আহমেদ প্রসঙ্গ উঠলো। শিক্ষক মশাই টেকনিকালি হুমায়ূন আহমেদ এর তুলোধোনা করলেন। আমি বললাম, “বলে কি?” পাশের জন দেখলাম খুব সায় দিচ্ছে শিক্ষকের কথায়। বললাম, “তুমি হুমায়ূন আহমেদ পড়না?” সে তার মুখ বাঁকা করে উত্তর দিবো, “ইয়ু, না।” আমি অবাক হয়ে তাকালাম। সে আমার বয়সী, কিংবা একটু ছোটই হবে। তার মতো সৃজন মনা একজনের কাছ থেকে এইটা আশা করিনি। কষ্ট তার “না” বলাতে লাগেনি। কষ্ট লেগেছে, তার সাত জনমের বাঁকা মুখ দেখে। কষ্ট শিক্ষক মশাই এর হুমায়ূন অপ্রীতি তে লাগেনি। কষ্ট লেগেছে, উনার “হুমায়ূন আহমেদ বাংলা লিটারেচারে কি করেছেন?” মূলক প্রশ্ন থেকে। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকতে আমার বয়সী যেসব পাঠক তার নাম জমতে জমতে মুখে ফেনা তুলতো, তারা যখন আজ উনি মারা যাবার পর বর্তমান সময়ে “আমার ভিনদেশী তারা” এর মতো “আমার ভিনদেশী লেখক” নিয়ে মাতামাতি করে নিজেকে স্মার্ট সাজাতে ব্যস্ত তা দেখে আমার কষ্ট লাগে।

Google Doodle on Humayun Ahmed’s 69th Birthday

“ধুর, হুমায়ূন আহমেদ পড়িনা”, “ইয়ু, হুমায়ূন পড়ি না”, এইসব বাক্য কি ইদানিং নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ এর পন্থা? লাস্ট সেমিস্টারেও যখন সকালের ঘুম বাদ দিয়ে ভার্সিটি যেয়ে এক শিক্ষকের মুখে হুমায়ূন আহমেদ কে তুলোধোনা হতে শুনতাম কষ্ট লাগতো। হ্যাঁ, জেনারেশন পাল্টালে রুচি পাল্টাতে পারে কিংবা একই জেনারেশন এর কাল বিশেষে রুচি পাল্টাতে পারে। কিন্তু, শিক্ষক তাও আবার লিটারেচার এর শিক্ষক দের কাছে এই ধরনের রেসপন্স আমি চিন্তা করিনি। শিক্ষক বলেই যে হুমায়ূন আহমেদ ভালো লাগবে, এইটা অবশ্যই কম্পালশারি না। কিন্তু, এমন যুক্তি? এর থেকে তো পার্শ্ববর্তী দেশের “আনন্দবাজার” হুমায়ূন আহমেদের গুণ বেশী গায়। গুণীর কদর এর ক্ষেত্রে আমরা বরাবরই আনাড়ি। দাঁত থাকলে দাঁতের মর্ম যেমন বুঝি না, দাঁত চলে গেলেও মাঝে মাঝে তার মর্ম বুঝি না।

Himu Illustration. Source: Internet

আমাকে শুনতে হয়, লেখালেখির অভ্যাস কখন থেকে। আমি কখনো সত্যি উত্তর টা দিই না। শুধু বলি, “এই হবে হয়তো। এইসব তো বলে কয়ে আসে না, শুরু করেছি হয়ে গেছে।” কিন্তু না। আসল উত্তরটা অন্যখানে। আমার লেখালিখির রসদ জগিয়েছেন আমার মা। বাচ্চারা পায়ের উপর বসে ঝুলার একটা খেলা খেলে। যিনি পা দিয়ে তুলেন, তিনি বলেন “দোল দোল দোলনি, রাঙা মাথায় চিরুনি।” কিন্তু, আম্মু গায়তো আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো। আম্মু যখন, “ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু” বলে আমার দিকে তাকাতো সেই কষ্ট যেনো আমি বুঝতে পারতাম। তারপর, রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের আগমন। ভোরে লাল সোয়েটার, সাদা শার্টের নিচে সবুজ প্যান্ট পড়ে যখন স্কুলের পিটি করতে যেয়ে চোখ ছলছল অবস্থায় জাতীয় সংগীত গাইতাম তখন স্কুল মাঠের আম গাছ গুলা থেকে বেরিয়ে আসা কাষ্ঠ রসের গন্ধ আর জাতীয় সংগীতের লাইন আমাকে রবীন্দ্রনাথ কে চিনিয়েছে। আমার এক কাজিনের বাসায় গানের শিক্ষক আসতেন। তারা কয়েকজন হারমোনিয়াম নিয়ে বসতো। একটা খাতায় লাইন লেখা ছিলো, “চল চল চল। উর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল।” তারা আমার সামনে গায়তে লজ্জা পেতো। আমি তাই গানটা পড়ে নিয়ে, নিজে থেকে আড়ালে গাইতাম। সেই থেকে নজরুলের আবর্তন। আর, তারপর হুমায়ূম আহমেদ। আব্বু একবার গল্প শুনিয়েছিলো, তিনি কিভাবে বর্ষার সময় গ্রামের কাঁদা রাস্তা পাড়ি দিয়ে রাতের বেলা বাড়ি থেকে পালিয়ে “আজ রবিবার” “বকর ভাই” দেখতে যেতেন। সেই থেকে আমার ইন্টারেস্ট। হুমায়ূন আহমেদ আমাকে শিখিয়েছেন।

প্রশ্ন আসবে, কি শিখালেন এই লোকটা। যে নাকি বাংলা লিটারেচার এ কি করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এমন লোক, সত্যি কি কিছু শিখাতে পারে? প্রশ্নকর্তা বলবেন, “নিছক মনোরঞ্জন ছাড়া আর কিছু থাকলে বলবেন। মানে হচ্ব্যছে, ব্যক্তিগত জীবনের মনোরঞ্জন আরকি।” আমি মৃদু হেসে বলবো, “দাঁত খিলানো বন্ধ রেখে কথা শোনেন।” আমাকে বিশাল বিশাল বাক্যে অনুভূতি না লিখে কিভাবে সোজা ভাবে ছোট বাক্যে অনুভূতি প্রকাশ করতে হয় তা শিখিয়েছেন, শীতে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আঁটসাঁট ভাবে শুয়ে গল্পের বই পড়তে শিখিয়েছেন, ভোরে খেঁজুর গাছের নিচে বসে খেঁজুর রস খাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, ঝরঝরে গরম ভাত ঘি দিয়ে আরাম করে কিভাবে খেতে হয় তা শিখিয়েছেন, ঝুঁটি বাঁধা মেয়ের সাথে প্রেম, খোলা ছাদে জোছনা দেখা আর সাপ তাড়ানোর ঔষধের নাম শিখিয়েছেন, বোন আর মায়ের মধ্যে মমতার কোনো পার্থক্য নাই সেটা আমার মাথায় ঢুকিয়েছেন, আমাকে পাঞ্জাবি পড়তে শিখিয়েছেন, সুন্দর মানে কালো হয় সুন্দর মানে ইংরেজিতে কথা বলা নয়, সুন্দরতা থাকে ক্ষুধার্ত মানুষের এক প্লেট বিরিয়ানি খেতে দেখার মধ্যে উনি আমাকে তা বুঝিয়েছেন। আর শিখিয়েছেন সব চেয়ে অমূল্য শিক্ষা। নিজের স্বপ্নের পেছনে দৌড়ানো। যা তুমি, তা হতে পারা টা। কেমিস্ট্রির গাছ হয়েও যে, পেশায় লেখক হওয়া যায় উনি তা শিখিয়েছেন।

কাউকে জোর করে হুমায়ূন প্রেমিক বানানো আমার ইচ্ছা না। যে বলুক যা ইচ্ছা। হুমায়ূন আহমেদ আমাকে বাংলা গল্পের বই হাতে নিতে শিখিয়েছেন। আমি স্মার্ট না হলাম। আমি জানি আমি কি। নিজের মহত্ব নিয়ে গর্ব করতে যিনি শিখিয়েছেন, আজ তার জন্মদিনে তাকে স্মরণ করছি। এরা না বুঝলেও, আমার মতো বোরিং কিসিমের মানুষ আপনাকে বোঝে। ভালো থাকুন। আল্লাহ্‌ আপনাকে জান্নাতবাসী করুক, আমিন।

তুমি অনুপ্রেরণা (You are Inspirational)

তুমি অনুপ্রেরণা (You are Inspirational)

Rajiul Huda Dipto is a professional screenplay writer and working for years in the Bangladeshi TV industry. Besides that, he introduces himself as a photographer, whose photographs have been featured in various magazines and exhibitions all around the world. Not regularly, but he publishes his works in national dailies as well. Currently, he is working as a community writer in BuzzFeed and a contributor in Getty Images.

 

বাংলাদেশে ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’ ব্যাপারটির চর্চা বেশ কিছুদিন আগে থেকে জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু, সত্যিকার অর্থে এইসব স্পিচ থেকে আমরা ঠিক কতটুকু মোটিভেটেড হয়েছি তা চিন্তার বিষয়।

একটা ইন্সিডেন্ট বলা যাক। একজন খুব নামীদামী মোটিভেশনাল স্পিকারের কাছে আমার পরিচিত কয়েকজন প্রায় বছর খানেক আগে একটা স্যোশাল কাজে উনার কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলো। না, অর্থের জন্য নয়। এইখানে বলে রাখা দরকার, উনি আবার একটা অনেক বড় কোম্পানীর বড় এক দায়িত্বে কর্মরত আছেন। উনার সাথে দেখা করে, কনসেপ্ট বোঝানো হলো। বলা হলো, উনি যেনো বিষয়টি একটু প্রোমোট করেন। উলটা উনি, ‘এই কাজে লাভ নাই’ ধরনের মন্তব্য করে তাদেরকে এদিক-সেদিক বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিলেন। ফলাফল, ডিমোটিভেশন। উনার কিছু স্পিচ আমি ইউটিউবে গত কয়েকদিন যাবত ঘাটছিলাম। দুই দিনে প্রায় ১৫-২০ টা ভিডিও দেখে ফেলেছি। হ্যাঁ, ভিডিও’র লেন্থ যতটুকু আমি ততটুকু সময় দারুণভাবে মোটিভেটেড হয়েছি। কিন্তু, তারপর আমার মাথায় তার সেই দিনের ব্যবহারের কথা মাথায় আসে। চট করে মনে হয়, আরে সেতো ফেইক কথা বলে। আর, কিছুনা। তার প্রতিটা ভিডিওতে একটা বিষয় খুব মিলে। তিনি একই বক্তব্য, ঘুরে ফিরে দেন। সব জায়গাতে।

আরো একজন মোটিভেশনাল স্পিকার আছেন, যার কথায় আমি মোটিভেটেড কম বরং ইস্কেয়ার্ড বেশী হয়েছি। উনি চুইংগাম চাবান, আর কথা বলেন। সত্যি বলতে, উনার কথায় আমি কখনো সাহস পাইনি। বরং, হারিয়েছি। কে জানে, ফরমাল ব্যাপারটা আমার সাথে যায় না বলে কিনা।

আবার, এমন কিছু মানুষ আছেন যারা স্বঘোষিত স্পিকার না। কিন্তু, তাদের কথা শুনতে দারুণ লাগে। তারা খুব সিম্পল এবং জীবনের একেকটা দিন থেকে নেয়া কথা বলেন সবসময়। দারুণ শোনায়। ট্রাস্ট মি।

আমি দু:খিত, যদি কেউ ব্যথা পান। আমার ধারণাটা এই রকমই।

একটা দুই-তিন ঘন্টার মোটিভেশনাল সেশন একটা মানুষের হতাশা দূর করতে পারে বা নাও পারে। এক মিনিটের একটা উক্তি বা এক লাইনের একটা লেখাও জীবন পালটে ফেলতে পারে। নট নেশেসারি, আপনাকে মনস্তত্ত্ববিদের কাছে যেতে হবে বা কোনো সেশনকে জয়েন করতে হবে। ইউটিউবে সেইসব  ভিডিও যদি জোর করে দেখেন, তাহলে সময় নষ্ট করছেন। আপনার মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে আপনি আপনাকে এপোয়েন্টেড করুন। আপনি, নিজেকে দশ মিনিটের জন্য দুইটা স্নিকার্স বা ক্যাডবেরী (If You Like Chocolates) বেতন দিন। আর, এই দশ মিনিট নিজেকে বোঝান। আমাদের জীবনে অনুপ্রেরণার বিকল্প নেই। কিন্তু, খেয়াল রাখবেন এই লিস্টে যেনো আপনার নিজের নামটাই সব নামের উপরে থাকে।